লেখকঃ আতিকুর রহমান সুমন
একজন দক্ষ, যোগ্য,মেধাবী, বিনয়ী ও উদারমনের সরকারি কর্মকর্তা। তিনি হলেন মো. সেফাউর রহমান। ২৫তম বিসিএস (খাদ্য) ক্যাডার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তাঁর জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর বোয়ালিয়া ইউনিয়নে। অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। এইচএসসি রাজশাহী কলেজ থেকে পাশ করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেন।
বর্তমানে মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ খাদ্য বিভাগের দুই জেলার দায়িত্বপালন করে স্বমহিমায় কর্মদক্ষতায় মানুষের মন জয় করাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকেও পরিচিত করেছেন।
তিনি শুধু সরকারি কাজে ব্যস্ত থেকে শিকড়কে ভুলে যাননি, একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়েও অন্যদের মতো সম্পদের পাহাড় করেননি, অন্যদের মত ব্যাংক একাউন্ট, বাড়ী গাড়ি বানাননি,নিজেকে সাধারণ নিরহংকারী হিসেবে মানুষের সাথে মিশে থাকেন।
অফিসিয়াল ছুটি থাকলেই ৬০০ কি.মি. দূর থেকে এলাকায় এসে গরিব দুঃখী মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। যুক্ত হন বিভিন্ন সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে।
এলাকার গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর সহযোগিতার হাত সবসময় অগ্রাধিকার পেয়েছে। তাদের ফরম ফিল-আপ,শিক্ষা সরঞ্জাম সহ সবধরনের সহযোগিতা তিনি করেন। কেউ তাঁর কাছে খালি হাতে ফিরেন না। নিজ এলাকার এতিমখানা, লিল্লাহ বোডিং, মাদ্রাসা ও সামাজিক সংগঠনের প্রতি তাঁর উদার হস্তে দান করা চোখে পড়ার মত।
অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য হৃদয়ের বিশালতা আমাদের মুগ্ধ করে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধ আমাদের মুগ্ধ করে। অসহায় গরীব রোগী টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর নজির অসংখ্য। তরুণ ও যুবসমাজের মাঝে খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে তাঁর অবদান উল্লেখ করার মত।
শুধু নিজ এলাকা চাঁপাই নবাবগঞ্জে নয় তাঁর কর্মস্থল মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জেও অসংখ্য হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন,গরীব মেধাবীদের টিউশন ফিসহ বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
তিনি পারতেন অন্য সব কর্মকর্তার মত আয়েশী জীবনযাপন করতে, কিন্তু তিনি তা না করে মানবতার ডাকে নিজের বিবেককে জাগিয়ে রেখে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
সবচেয়ে বড় গুণ তিনি অত্যন্ত মানবিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন সরকারি কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে তিনি মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে সবার নজর কেড়েছেন।
এলাকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি মধ্যমণি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। পাশে থাকেন অভিভাবকের মতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো।
এলাকায় ছুটির মধ্যে গেলেই যুবসমাজের আনন্দ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে খাদ্য বিভাগের একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা হিসেবে মাদারীপুর জেলার পাশাপাশি গোপালগঞ্জ জেলারও খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দুই জেলায় খাদ্য বিভাগ অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি স্বচ্ছ ও পরিপূর্ণ বিভাগে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জ জেলায় FAO কর্তৃক পুষ্টি চাল উৎপাদন, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান গম ক্রয়, গোডাউনগুলোর সার্বক্ষণিক তদারকি, যোগ্যদের ডিলারশিপ প্রদানসহ অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটেছে এই দুই জেলায়।
আমাদের জেলা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে অবদান অনেক বেশি। তিনি যেখানেই যান নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে মানুষের মন জয় করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে আরও বেশি উচ্চতায় নিয়ে যান। এমন একজন মানবিক সরকারি কর্মকর্তা আমাদের জন্য গর্বের।
লেখকঃ আতিকুর রহমান সুমন
সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
সাবেক সহ-সভাপতি ও উপ-দপ্তর সম্পাদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।।
তথ্যসূত্র :বাংলাপ্রবাহ২৪
Leave a Reply